প্রথম ছবিটা বিমানের ককপিটের। অর্থাৎ, ঠিক যেখান থেকে বিমানের পাইলটেরা বসে বিমান পরিচালনা করেন তার ছবি। ছবি দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে কাজটা মোটেও সহজ কিছু নয়। বিমানকে আকাশে উড্ডয়নের জন্য, তার গতি ঠিক রাখতে, ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং যাবতীয় প্রতিকূলতা থেকে বাঁচাতে এখানে ব্যবহার করা আছে হাজার রকমের প্রযুক্তি। একজন পাইলটকে এসবের নিবিড় সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারতে হয়। সামান্য হেরফের হলেই ঘটে যেতে পারে মহা-বিপদ!
বিমানকে আকাশে উড্ডয়নের জন্য যে কসরত মানুষকে করতে হয়েছে তার একটা নমুনা এই ছবিটা। অথচ, একটা ছোট্ট পাখির কথা ভাবুন তো। কতোটুকুই আর সেটার মস্তিষ্কের আকার? একটা বিমানের ভারসাম্য আকাশে বজায় রাখতে এই যে এতো এতো কারগুজারি, এর সবকিছুই মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা পাখির ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মস্তিষ্কে দিয়ে রেখেছেন এবং কোন রকম বিঘ্ন ছাড়াই পাখি সেই শক্তি ব্যবহার করে আকাশে উড়ে বেড়ায়।
'তারা কি তাদের মাথার ওপরে ডানা ছড়িয়ে দেওয়া এবং গুটিয়ে রাখা পাখিদের দেখতে পায় না? করুণাময় আল্লাহই তাদেরকে তাদের গতিপথে স্থির রাখেন। তিনি সবকিছুই দেখতে পান'।- আল মুলক, ১৯
0 coment rios: